আজকালকার দিনে রান্না – বান্নার জগতে আদা রসুনের পেস্ট এক অপরিহার্য জিনিস হয়ে গেছে। বাঙালিয়ানার সব খাবারেই সাধারণত এটির ব্যবহার হয়ে থাকে, মাছ – মাংস থেকে শুরু করে ফুলকপির ঝোল। যেহেতু এটি সব বাড়িতেই প্রতিদিন ব্যবহার হয়ে থাকে তাই এর চাহিদা সারাবছরই থাকবে।
কিন্তু একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, জিনিসটির গুণগত মান যেনো খুব ভালো হয় তবেই এটা বাজারের আর পাঁচটা ভালো কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। গুণগত ভালো করার জন্য যখন আমরা কাঁচা আদা রসুন কিনবো তার কোয়ালিটি যেন ভালো হয় তা যাচাই করে নেবো। আমরা এই পেস্টটি তৈরি করার পর তা ৫০-১০০ গ্রামের পাউচ করে প্যাকিং করে বাজারে বিক্রি করতে পারি।
প্রয়োজনীয় মেশিন:
আদা রসুনের পেস্ট তৈরি করতে মোটামুটি ভাবে নিম্নলিখিত মেশিন গুলির প্রয়োজন হবে –
ওয়াটার জেট ওয়াশার, স্কিন পিলিং মেশিন, ক্রাশার মেশিন, পালপিং মেশিন, স্টেনলেস স্টিল ট্যাঙ্ক, প্যাকিং মেশিন, ওজন মাপার মেশিন, সিলিং মেশিন, কার্টুন প্যাকিং মেশিন।
পদ্ধতি: প্রথমে ফার্ম থেকে ভালো মানের আদা রসুন বাছাই করে নিয়ে এসে তা ওয়াটার জেট ওয়াশের প্রেসারে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে যাতে কোনো ধুলো বালি না লেগে থাকে। এরপর স্কিন পিলিং মেশিনের সাহায্যে আদা রসুনের ছাল ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর এগুলো ক্রাশার মেশিনে দিলে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। এবার টুকরো করা আদা রসুন গুলি পালপিং মেশিনে দিলে পুরোপুরি পেস্ট হয়ে বেরিয়ে আসবে। এবার সেটি একটি স্টেনলেস স্টিলের ট্যাঙ্কে জমা করে তার সাথে পরিমাণ মতো সংরক্ষণকর মেশাতে হবে। এবার সেটি ওজন করে পাউচ প্যাকিং মেশিনের সাহায্যে প্যাকিং করে সিলিং মেশিনের সাহায্যে সিল করে বাজারে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
নোট:
পেস্ট বানানোর জন্য সমপরিমাণ আদা ও রসুন নেওয়া যেতে পারে তবে এক্ষেত্রে এর স্বাদ কিছুটা তিক্ততার জন্য ৩ অংশ রসুনের সাথে ২ অংশ আদা মেশানো হয়। আর সংরক্ষণকর হিসেবে তেল, হলুদ ও ভিনেগার মেশানো হয়।
অবশ্যই পড়ুন: নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে –
আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন, লাইসেন্স ও মেশিন কেনার ঠিকানা
শুধু আদা ও শুধু রশূন এর পেস্ট আলাদা ভাবে সংরক্ষণ করা যাবে কি না ? সংরক্ষণকর মেশানোর অনুপাত জানতে চাই ( এক কেজির অনুপাত ধরে )।