আমরা একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারি অনেক কম মূলধনের সাহায্যেই। এই ছোট ব্যবসা অনেক সময় আমরি সাইড বিজনেস হিসেবেও রাখি, আবার অনেক সময় ফুল টাইম কাজ হিসেবেও করি। আজ আপনাদের কিছু ছোট ব্যবসার কথা জানাবো যেটা আপনি মাত্র ৫০,০০০ টাকার কম মূলধনের সাহায্যেই শুরু করতে পারবেন।
Post Contents
১. মেশিনের সাহায্যে নুডলস বানান
আজকের দিনে ছেলে মেয়ে বলুন বা বয়স্করা সমস্ত বয়সের মানুষেই চাউমিন নুডলস ফাস্টফুড হিসেবে খেতে পছন্দ করে। মেশিনের সাহায্যে এই নুডলস বানিয়ে খুব ভালো ব্যবসা করা যেতে পারে। আসুন জেনে নিই কিভাবে বানাতে হয়, কি কি মেশিন লাগে, মেশিনের দাম ইত্যাদি তথ্য।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
২. চক তৈরির মেশিন
আজকের দিনেও স্কুল – কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চকের ব্যবহার আছে। চকের চাহিদা সারাবছরই থাকে। আমরা ছাঁচের চক তৈরি করে বাক্সে ভরে স্কুল – কলেজ বা দোকানে অর্ডার অনুযায়ি সাপ্লাই করতে পারি।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
৩. এয়ার কম্প্রেসার মেশিন
এয়ার কম্প্রেসার মেশিনের সাহায্যে পেন্টিং এর ব্যবসা আজকের দিনে খুবই লাভজনক হবে। আজকাল কাঠের কাজের উপর, গাড়ি, আলমারি, রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি জিনিসের উপর এয়ার কম্প্রেসার মেশিনের সাহায্যে পেন্টিং করিয়ে থাকেন। এতে পেন্টিং দেখতে খুব সৌখিন ও সমান্তরাল লাগে।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
৪. টি- শার্ট, কফি মগ প্রিন্টিং মেশিন
আজকের দিনে বাজারের একটি দ্রুত বিকশিত ব্যবসা হল মেশিনের সাহায্যে টি শার্ট, কফি মগ, টুপি বা অন্যান্য জিনিসের উপর লোগো, ফটো বা পছন্দ সই ডিজাইন প্রিন্টিং করা। আমি মনে করি দিনের পর দিন এই ব্যবসার মার্কেট ভ্যালু বাজারে বাড়বে। যে কেউ এই মেশিনটি দিয়ে বাড়িতে বা যে কোনও জায়গায় এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন এবং প্রতি মাসে খুব ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
৫. ল্যামিনেশন মেশিন
আজকের দিনে আমরা সবাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, মার্কশীট এছাড়া ছোট – বড় বিভিন্ন মাপের ছবি ল্যামিনেট করে সুরক্ষিত রাখি। এই ল্যামিনেট করতে প্রয়োজন হয় ল্যামিনেশন মেশিনের। খুবই অল্প খরচে এই ল্যামিনেশন মেশিন কিনে আমরা এর থেকে ভালো উপার্জন করতে পারি।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
৬. মার্বেল ও মোজাইক পালিশের মেশিন
মার্বেল ও মোজাইক পালিশ করার মেশিনের সাহায্যে ব্যবসা করে আমরা ভালো টাকা রোজগার করতে পারি। আজকের দিনে চারিদিকে কনস্ট্রাকশনের কাজ বেড়েই চলছে, নতুন নতুন কত বহুতল বাড়িঘর, ফ্ল্যাট, শপিং মল ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। আর এসব কাজে প্রয়োজন হয় মার্বেল ও মোজাইক করার মেশিনের।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
৭. কয়েল ওয়ান্ডিং মেশিন
আপনি যদি ইলেকট্রিক জিনিসের রিপেয়ারিং করেন বা ইলেকট্রিকের কাজ করেন তাহলে এই কয়েল ওয়ান্ডিং মেশিনটি আপনার কাজে আসতে পারে। এই মেশিনের সাহায্যে আপনি ছোট ট্রান্সফরমার,ট্রানজিস্টরের কয়েল ইত্যাদি তৈরি করে স্হানীয় দোকানে অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারেন।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
৮. ন্যাপথ্যালিন বল বানানোর মেশিন
বাড়ির জামাকাপড় কিট-পতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা করতে জামা-প্যান্ট বা উল জাতীয় জিনিসের মধ্যে নেপথালিনের বড়ি ঢুকিয়ে রাখা হয়। এছাড়া টয়লেট, বাথরুম ও ইউরিনাল ইত্যাদিতে সুগন্ধি রাখার জন্য এর বড়ি রাখা হয়। যেহেতু, আজকাল মানুষের মধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতা অনেক বেড়েছে তাই এর বাজার আগের থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নেপথালিনের ব্যবসা আজকের দিনে খুব লাভজনক হবে।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
৯. উলের বল তৈরির মেশিন
উলের বল তৈরি বা ওয়েন্ডার মেশিন একটি ছোট ব্যবসা শুরু করার জন্য যথোপযুক্ত। বিশেষ করে শীতকালে মার্কেটে উলের খুব চাহিদা থাকে। এছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়েও শোয়েটার বা শীতকালীন পোশাক তৈরি করার জন্য সবাই মার্কেট থেকে এই উলের বল কিনে থাকে।
এই উলের বল দিয়ে শোয়েটার, মাফলার, স্কার্ফ, শীতের টুপি ইত্যাদি তৈরি করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই উলের ওয়েন্ডার মেশিনের সাহায্যে উলের থেকে আপনি একটি উলের বল তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারেন।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১০. শাল পাতার থালা বানানোর মেশিন
আমরা সবাই জানি যে, সরকার পলিথিন ও থার্মোকল জাতীয় দ্রব্যের উপর প্রতিবন্ধকতা লাগানোর ফলে বাজারে এই জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার খুব কমে গেছে এবং ধীরে ধীরে এই পলিথিন জাতীয় দ্রব্যের প্রচলন এবং তাকে ঘিরে যে শিল্প ও ব্যবসা একেবারে বসে যাবে। তাই আমাদের আবার সেই পুরনো পাতার ও কাগজের তৈরি প্লেট ও বাটির ব্যবহারের উপর জোর দিতে হবে। তাই এক্ষেত্রে, পাতার তৈরি প্লেট ও বাটির ব্যবসা খুব ভালো চলবে এবং এই ব্যবসার ভবিষ্যৎ খুব ভালো হবে, এটা আশা করা যায়।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১১. চপ্পল বানানোর মেশিন
আজকের দিনে মেশিনের সাহায্যে ‘সিল্পার’ বা ‘চপ্পল’ বানানোর ব্যবসা খুবই লাভজনক হতে পারে। আপনি এই ব্যবসা ক্ষুদ্র শিল্পের আকারে শুরু করতে পারেন। আজকাল গোটা বিশ্বে এই ‘চপ্পল’ বা ‘সিল্পার’ এর ব্যবহার আছে, ভারতেও এর ব্যবসায়িক বাজার বেশ রমরমা। বিভিন্ন ডিজাইনারের ও রংয়ের চপ্পল বাজারে পাওয়া যায় যা আমরা ঘরের মধ্যে ব্যবহার করি বা সামনা সামনি কোথাও যাওয়া আসার জন্য, এছাড়াও কোথাও ট্রাভেল করার সময় এর ব্যবহার আজকাল একটি ট্রেন্ড। ভালো কোয়ালিটির শোল দিয়ে জুতো তৈরি করে যদি আপনি নিজের কোম্পানির নাম দিয়ে ভালোভাবে মার্কেটিং করতে পারেন, আপনি এই ব্যবসায় ভালো লাভের মুখ দেখতে পাবেন। বাজারে অনেক ছোটো বড়ো কোম্পানি এই ব্যবসা থেকে ব্যাপক টাকা উপার্জন করছে।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১২. মোমবাতি তৈরির মেশিন
যদি কেউ আগে কখনো কোনো ব্যবসা শুরু করেনি এবং খুব কম ইনভেস্টমেন্টের সাথে কোনো ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছে, তাহলে মোমবাতি তৈরির ব্যবসা তার জন্য উপযুক্ত শুরু হতে পারে। মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করতে যেমন স্বল্প মূলধনের প্রয়োজন হয় তেমনি প্রয়োজন হয় কম শ্রমিকের। একেবারে বাড়ি থেকে শুরু করা যাবে এবং প্রথমদিকে পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করা যেতে পারে। ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়লে ফুল টাইম করে নেবেন।মোমবাতি বানানো খুবই সহজ এবং এর জন্য বেশি মেশিনের প্রয়োজন হয় না।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১৩. দুধ থেকে ক্রিম তৈরির মেশিন
মেশিনের সাহায্যে দুধ থেকে ‘ক্রিম’ বের করে সেই ক্রিম থেকে আমরা ঘি, মাখন তৈরি করতে পারি। এছাড়া এই ক্রিম কেক – পেস্ট্রির দোকানে বা প্যাকেটে ভরে বাজারে সাপ্লাই করতে পারি।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১৪. পপকর্ন তৈরির মেশিন
মেশিনের সাহায্যে পপকর্ন বানিয়ে খুব কম সময়ে আপনি অনেক পরিমাণ প্রোডাক্ট উৎপন্ন করতে পারবেন। আজকের দিনে মল, সিনেমা, পার্ক থেকে শুরু করে গ্রামের মেলাতেও এখন সবাই এই পপকর্ন খেতে পছন্দ করে। এছাড়া এই পপকর্ন আপনি লোকাল দোকানে ও মার্কেটে সাপ্লাই করে খুব ভালো পরিমাণ টাকা রোজগার করতে পারবেন।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১৫. বল পেন তৈরির মেশিন
স্কুল – কলেজ, অফিস – আদালত, দোকান – পত্র সব জায়গাতেই পেনের ব্যবহার প্রতিদিন হয়। তাই , সারা বছরই মার্কেটে পেনের চাহিদা থাকে। মেশিনের সাহায্যে খুব কম খরচেই বল পেন তৈরি করা যায়। এই পেন আমরা বিভিন্ন দোকানে ,কোনো কোম্পানির অর্ডার নিয়ে তার অর্ডার অনুযায়ি এছাড়া নিজের কোম্পানির নামে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারি।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১৬. প্রদীপের সলতে বানানোর মেশিন
পূজো – পার্বণ , উৎসব – অনুষ্ঠান, যে কোনো শুভ কাজ আমরা প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু করি। আজকাল প্রদীপের এই সলতে আর কেউ বাড়িতে বানায় না, সবাই বাজার থেকে কিনে নেয়। তাই , প্রদীপের এই সলতের চাহিদা সারাবছরই থাকে।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১৭. বাইক বা কার ওয়াশার পাম্প মেশিন
খুব কম খরচে ব্যবসা খুলে ভালো রোজগারের যে আইডিয়াগুলি হতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হল এই মেশিনের সাহায্যে বাইক বা স্কুটার ওয়াশ করা। তাই তো, হ্যাঁ এটি খুবই লাভজনক ব্যবসা তবে আপনার এই ব্যবসাটি একটি জনবহুল এলাকায় রাস্তার পাশে হওয়া দরকার। আপনার নিজের বাড়িতে যদি জায়গা থাকে সেখানেও খুলতে পারেন। আজকাল প্রায় সব বাড়িতেই কম বেশি বাইক বা স্কুটার আছে এবং সবাই নিজে পরিস্কার করতে পছন্দ করেন না। সেইজন্য তারা বাইক টিকে পরিস্কার করানোর জন্য এই বাইক ওয়াশ দোকানে নিয়ে আসেন।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১৮. কফি বানানোর মেশিন
কফি বানানোর মেশিনের সাহায্যে কফি তৈরি করে আপনি একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার যদি কফি শপ, টি স্টল, রেস্তোরাঁ বা ইন্টারনেট ক্যাফে ইত্যাদি থাকে তার মধ্যে এই কফি বানানোর মেশিনেটি লাগিয়ে কফি বিক্রি করে ভালো মুনাফা লাভ করতে পারেন। এছাড়া স্হানীয় অনুষ্ঠানে, বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে, জন্মদিনের পার্টি ইত্যাদিতে আপনার কফি মেশিনটি ভাড়া দিয়ে বেশ কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই মেশিনটি আপনার কফি বানানোর কাজ অনেক সহজ করে তোলে ও সময়ও বাঁচায়।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
১৯. মেশিনের সাহায্যে জ্যাম – জেলি বানান
আজকের দিনে বাজারে টমাটো সস, চিলি সস ও জ্যাম – জেলির ভালো চাহিদা আছে। যে কোনো খাবার দোকানে মুখরোচক খাদ্য পরিবেশনের সাথে ও বাড়িতেও এর ব্যবহার করা হয়। তাই মেশিনের সাহায্যে এগুলি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বাড়ি থেকেও আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
২০. চুল বাঁধার ফিতা ও গাডার তৈরির মেশিন
চুল বাঁধার ফিতা তৈরির মেশিন ও গাডার তৈরির মেশিন আলাদা আলাদা হয়। কিন্তু দুটিরই বানানোর পদ্ধতি এক রকম। তাই এই পোস্টে দুটি সমন্ধেই আলোচনা করব।চুল বাঁধার জন্য প্রায় সব বাড়ির মেয়েরাই এই নাইলনের ফিতা বা ব্যান্ড ব্যবহার করে থাকে। আপনি আপনার নিজের এলাকায় বা মার্কেটে যে রকমারি দোকানআছে সেখান থেকে এর বিক্রি সমন্ধে ধারণা নিতে পারেন।
অন্যদিকে, গাডার (রাবার ব্যান্ড) সব দোকানেই ব্যবহার করা হয়। কোনো জিনিস প্যাকিং করে তার মুখটা বেঁধে দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে মিষ্টির দোকানে,খাবার দোকানে, ভূষিমাল দোকানে এর বহুল ব্যবহৃত হয়।
পুরো পোস্ট পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।