Wednesday, April 17, 2024
Homeছোট ব্যবসা'আগরবাতি' বা 'ধূপকাঠি' তৈরির বিজনেস- সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক ধারণা

‘আগরবাতি’ বা ‘ধূপকাঠি’ তৈরির বিজনেস- সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক ধারণা

আগরবাতি বা ধূপকাঠি তৈরির ব্যবসা আজকের দিনে খুবই লাভজনক হবে আপনি যদি মনোযোগ আর পরিশ্রমের সাথে এই ব্যবসাটি করেন। আগরবাতি ব্যবসা শুরু করার একটি সম্পূর্ণ গাইড আমি এই লেখায় আপনাদের কাছে তুলে ধরবমনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আমার নিজস্ব আগরবাতি তৈরির মেশিন এবং ব্যবসা আছেতাই এই সম্পর্কিত কোনো তথ্য চাইলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

প্রথমত শুরু করি, আগরবাতি দুই ভাবে বানানো যায় – (১) ম্যানুয়াল মানে হাতের সাহায্যে (২) মেশিনের সাহায্যে। এর জন্য দুই প্রকার মেশিন পাওয়া যায় – (ক) অর্ধ স্বয়ংক্রিয় (খ) সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। আগরবাতি ব্যবসায় ভালো প্রোডাকশন ও রোজগার করতে চাইলে অবশ্যই ভালো মেশিনের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমি বলবো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিন নেওয়ায় ভালো, কেননা অর্ধ স্বয়ংক্রিয় মেশিনে পরিশ্রম অনেক বেশি এবং উৎপাদন  ক্ষমতাও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিনের থেকে কম।  

আগরবাতি তৈরির সম্পূর্ণ ধাপ:

  • আগরবাতি বানানোর মেশিন।
  • কাঁচামাল যেমন -কয়লাগুঁড়ি, কাঠগুঁড়ি, জিকেট, বাঁশের কাঠি ইত্যাদি।
  • উপযুক্ত জায়গা এবং মেশিন চালানোর ঘর।
  • কাজ করার জন্য স্টাফ। 
  • কাঁচামাল থেকে মিক্সার মসালা তৈরি।
  • মেশিনে মিক্সার মসালা ও বাঁশের স্টিক প্রদান।
  • তৈরি হওয়া কাঁচা আগরবাতি সংগ্রহ ও রোদে শুকনো করা।
  • শুকনো করা আগরবাতি কাঠিগুলিতে সেন্ট দেওয়া।
  • প্যাকেজিং করা ও সাপ্লাই করা।

(১) আগরবাতি বানানোর মেশিন:

(ক) যে কোনো উৎপাদনকারী ব্যবসার ক্ষেত্রে মেশিন প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই, মেশিন কেনার সময় খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং ভালো কোম্পানির মেশিন আর তার কর্মক্ষমতা র সবিস্তার বিবরণী যাচাই করে কিনতে হবে। আজকাল বাজারে আগরবাতি মেশিন সাপ্লাই করার অনেক ডিলার আছে। কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে, সেই কোম্পানির সার্ভিসিং সেন্টার আপনার নিকটবর্তী কোথায় আছে এবং  মেশিনে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি এলে কিভাবে তারা আপনাকে সার্ভিস দেবে, সেটি কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নেবেন।  

(খ) আগরবাতি মেশিনের দাম তার উৎপাদন কার্যক্ষমতা  ও মেশিনের কোম্পানির উপর নির্ভর করবে। মোটামুটিভাবে একটি ভালো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিনের দাম ১,০০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। ভালো মেশিন কিনলে তার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ও যান্ত্রিক ত্রুটি কম হয়। মেশিনের কুলিং প্রসেস দুই রকমের হয় –  এয়ার কুলিং ও ওয়াটার কুলিং। ওয়াটার কুলিং দেখে কিনবেন, এতে মেশিনের ভারসাম্য অনেক ভালো থাকে।

(গ) আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী যেখান থেকে সুবিধে আর যার সার্ভিস সেন্টার কাছাকাছি বা ভালো সার্ভিস পাবেন বলে আপনার মনে হয়, সেখান থেকে কিনবেন। আপনি যদি কলকাতার আশেপাশে থাকেন, কলকাতা থেকে নিতে পারেন। 

কলকাতার মেশিন সাপ্লাইকারির নাম ও ঠিকানা:

Bharat Machine Tools Industries 61, Ganesh Chandra Avenue, kolkata- 700013. Phone No- 9432422086 Email: bharatmachinetools1@rediffmail.com

SD Aroma Trading

Near Pandey Bari, 6 No Rail Gate,, M A Sarani Birati, Kolkata, West Bengal 700158 Monday – Saturday (Sunday closed) Phone No- 082748 86874

এছাড়াও আপনি অনলাইন ও কিনতে পারেন indiamart ও hindusthan machine ওয়েবসাইট থেকে।

(২) কাঁচামাল:

আগরবাতি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালগুলি হল কয়লাগুঁড়ি, কাঠগুঁড়ি, গাম পাউডার, জিকেট পাউডার, বাঁশের কাঠি, রং, সেন্ট, তেল। কলকাতার বড়বাজার অঞ্চলে বা আপনার শহরতলি এলাকা থেকে বা অনলাইন থেকে আপনি এই প্রয়োজনীয় কাঁচামাল গুলি কিনতে পারেন।

কয়লাগুঁড়ি ১০-১২ টাকা কেজি, জিকেট গুঁড়ো ৮০ টাকা কেজি, গাম পাউডার প্রায় প্রতি কেজি ১০০  টাকা, কাঠগুঁড়ি দুই ধরনের হয় সাদা এবং লাল, লাল কাঠগুঁড়ির গুণগত মান ভালো, এটি প্রায় ২০-২২  টাকা কেজি দরে পাওয়া যায়।  বাঁশের কাঠি দুই ধরনের হয়, ভিয়েতনাম ও চায়না কাঠি।চায়না  বাঁশের কাঠি প্রতি কেজি প্রায় ১০৫ – ১২০ টাকা দরে পাওয়া যায়।আর ভিয়েতনাম কাঠির দাম একটু কম হয়, ৯৫ – ১০৫ টাকা কেজি দর পর্যন্ত।চায়না কাঠির গুণগত মান খুব ভালো। এই দামগুলি বাজারের উপর হেরফের হতে পারে।

(৩) উপযুক্ত জায়গা বাছাই:

দেখুন, গ্রাম বা শহর দুই জায়গাতেই এই ব্যবসার প্রোডাকশন ঘর ভালো ভাবে করা যাবে। শহরে হলে ট্রান্সপোর্ট খরচ কম হবে। কারণ, সব কাঁচামাল ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে আসবে, আর সব শহরেই কোনো না কোনো ট্রান্সপোর্টর অফিস থাকে। ওখান থেকে খুব কম খরচেই আপনি কাঁচামালটি নিজের ঘরে তুলতে পারবেন। গ্রামে হলে এক্ষেত্রে খরচ একটু বাড়বে। ঘর বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু হলঘর টাইপের হলে ভালো। আপনার মেশিন, কাঁচামাল রাখার জায়গা, মশলা মাখানো, কাজকর্ম,উৎপাদিত আগরবাতি রাখার জায়গা,সব কিছু মিলিয়ে একটু বেশ ভালো জায়গার ই প্রয়োজন। অন্যদিকে আবার সেন্ট তেল ভালো পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে এবং প্যাকেটিং করার জন্য জায়গা প্রয়োজন।

(৪) কাজ করার জন্য স্টাফ:

আপনি মেশিন কেনার সময় মেশিন ডিলারের সাথে কথা বলে রাখবেন, মেশিন ইনস্টল করতে ওনাদের যে টেকনিশিয়ান আসবেন, তার জন্য এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে, নাকি মেশিন কেনার সাথে তারা ফ্রি তে ইনস্টল করে দিয়ে যাবেন। আপনি যদি মেশিন কেনার সময় ভালো করে কথা বলে রাখেন, তাহলে ফ্রি তেও হয়ে যায়। নচেৎ,মেশিন ইনস্টল করতে আসার সময় ওনাদের যাওয়া -আসা , মজুরি মিলিয়ে কিছু টাকা আপনাকে দিতে হবে।  

ওই টেকনিশিয়ান ১-২ দিন আপনার ওখানে অবস্হান করেও কাজটি সম্পাদিত করতে পারে। ওরা, ওই ১-২ দিনে আপনাকে যাবতীয় ট্রেনিং ও মেশিনারি খুঁটিনাটি জানিয়ে দেবে। তারপর আপনাকে নিজে থেকেই এই মেশিন চালাতে হবে। তাই, আপনি তো ভালো করে শিখবেন ই আর যে সব স্টাফকে  আপনি কাজে রাখতে চান তাদেরকেও ওই সময় ট্রেনিং ক্লাসের মাধ্যমে শিখিয়ে দেবেন । এক্ষেত্রে, গ্রামে প্রোডাকশন ঘর হলে কাজ করার জন্য স্টাফ কম বেতনে পাবেন, আর শহরে একটু চড়াদামে স্টাফ পাবেন।  

(৫) কাঁচামাল থেকে মিক্সার মসালা তৈরি:

আগরবাতি বানানোর ক্ষেত্রে তার কাঁচামাল গুলির  মিশ্রণে ভালোমসালা তৈরির প্রক্রিয়া ভালো করে জানতে হবে। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ভালো করে মিশ্রণ বানাতে না পারেন তাহলে আপনার আগরবাতি কাঠিতে সমস্যা দেখা যাবে, যেমন শেষ পর্যন্ত জ্বলবে না, কাঠির গায়ে মসলার মিশ্রণ ঝড়ে পড়ে যাবে ইত্যাদি। এজন্য যে ডিলারের কাছ থেকে কাঁচামাল কিনবেন তার কাছ থেকে মসলা তৈরির ফর্মুলাটি ভালো করে জেনে নেবেন। 

মোটামুটিভাবে মিক্সার তৈরির যে ফর্মুলাটি ব্যবহৃত হয়,  সেটি হল  —

ধরে নিন, ১ কেজির একটি মসলা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে কয়লাগুঁড়ি ৬০০ গ্রাম, কাঠগুঁড়ি ৩০০ গ্রাম, জিকেট ১০০ – ১৫০ গ্রাম ও গাম পাউডার ২৫ – ৩৫ গ্রাম। এগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে এই মিশ্রণের জন্য ওজন করে প্রায় ৬৫০ – ৭২০ গ্রামের মত জল মেশাতে হবে। আর তারপর রুটি তৈরির জন্য আটা যেভাবে মাখে সেভাবে মাখলে একটি সুন্দর মসলা তৈরি হবে। 

  • এখানে একটি কথা বলতে চাই, জিকেট ও গাম পাউডার দুটিরই একি কাজ, আঁঠা  হিসেবে কাজ করে। মসলাটিকে কাঠির গায়ে জড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে। জিকেট হল প্রাকৃতিক উৎস থেকে নেওয়া(একটি গাছের ছাল),  আর গাম পাউডার কেমিক্যাল।
  • ১ কেজির মিশ্রণে শুধু জিকেট ১৫০ গ্রাম অথবা জিকেট ১০০ গ্রাম ও গাম পাউডার ৩০ – ৩৫ গ্রাম, এভাবেও বানানো যায়। কস্টিং কম করার জন্য সবাই দ্বিতীয় পদ্ধতি টাই ব্যবহার করে। জিকেটের ব্যবহারে কাঠির মসৃণতা বাড়ে। গাম পাউডার পরিমাণের বেশি ব্যবহার করলে কাঠির যে জ্বলতে জ্বলতে নিভে যাওয়া এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। 
  • মিক্সার মসালাটি হাতে ও মাখাতে পারেন, আবার এটি মাখানোর জন্য মিক্সার মেশিনও পাওয়া যায়। যদি মেশিন একাধিক হয়, তাহলে সময় এবং লেবার খরচ কমানোর জন্য এই মেশিনটি কিনতে পারেন। 

(৬) মেশিনে মসালা ও বাঁশের কাঠি প্রদান:

মেশিনে মসালা ডালার জন্য একটি হোল্ডার আছে, ওখানে মসালাটি ঢেলে দিলেন। আর বাঁশের কাঠিগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিলেন। এরপর, স্বয়ংক্রিয় মেশিনটি চালিয়ে দিলে কাঁচা আগরবাতি তৈরি হয়ে বেরিয়ে আসবে।   

(৭) কাঁচা আগরবাতি সংগ্রহ ও রোদে শুকনো করা:

তৈরি হওয়া কাঁচা আগরবাতি মেশিন থেকে সংগ্রহ করে শুকনো করার জন্য রোদের আলো ও বাতাসে রাখতে হবে। কাঁচা আগরবাতি গুলি তৈরি হওয়ার তৎক্ষণাৎ পরেই রোদে দেবেন না, ২ – ৩ ঘন্টা রুমে রেখে তারপর রোদে দিবেন। যদি আপনার কাছে রোদে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে, তাহলে ড্রাইয়ার মেশিন কিনতে পারেন।

(৮) সেন্ট দেওয়া:

আপনার আগরবাতি বা ধূপকাঠির কোয়ালিটি সব সময় মানুষ তার সেন্টের উপর যাচাই করবে। তারপর আগরবাতির কাঠির কোয়ালিটি দেখবে। তাই উচিৎ মূল্যে সেন্ট কেনা আর তার কস্টিং বের করে আগরবাতিতে দেওয়া, এটার উপরই আপনার ব্যবসার লাভ এবং অগ্রগতি নির্ভর করবে।

বাজার থেকে ‘র সেন্ট’ ও সেন্টকে ডাইলুট করার জন্য ডিপিং তেল কিনতে হবে। এরপর পরিমাণ অনুযায়ী সেন্ট, পরিমাণ মতো তেলে ঢেলে প্রায় ১ সপ্তাহ মত থিতিয়ে রাখতে হয়। এরপর যেটা তৈরি হয় ওই তেল ও সেন্টের মিশ্রণটি পরিমাণ মত হিসেবে দিয়ে আগরবাতিকে সেন্টেড করতে হবে। কোন সেন্টের কত গ্রামে কত তেল মেশাতে হবে,  যেখান থেকে সেন্ট কিনবেন তারা সবকিছু বলে দেবে। 

আগরবাতিতে সেন্ট আপনি ম্যানুয়ালি মানে হাতের সাহায্যেই করতে পারেন বা এজন্য একটি মেশিনও পাওয়া যায়, যার নাম আগরবাতি পারফিউম ডিপিং মেশিন। 

(৯) প্যাকেজিং করা ও সাপ্লাই করা:

আগরবাতি কাঠিগুলিতে সেন্ট দেওয়া হয়ে গেলে খোলা হাওয়ায় (রোদে নয়) ৩ – ৪ ঘন্টা রেখে তারপর প্যাকেট করতে পারেন। নিজের ব্রান্ড নাম অনুযায়ী প্যাকেট ছাপিয়ে তার মধ্যে আগরবাতি ভরে ৫,১০,১৫,২০,৫০,১০০ টাকার প্যাকেট করে তা ডোজন হিসেবে বাজারে এবং দোকানে হোলসেল প্রাইসে সেল করতে পারেন।

লাভ:

নিজের ব্রান্ড নাম দিয়ে প্যাকেট করে সেন্টেড আগরবাতি বাজারে, দোকানে বিক্রি করা যায়। তাছাড়া, রোদে শুকনো করা আগরবাতি কেজি হিসেবে কোনো কোম্পানি বা দোকানদার দের বিক্রি করতে পারেন। কলকাতা বা বড় শহরতলি অঞ্চলে এই  দোকান বা কোম্পানি পেয়ে যাবেন। তবে, আগরবাতির কোয়ালিটি সব সময় ভালো রাখতে হবে।

আপনি যদি শুধু শুকনো আগরবাতি মার্কেটে বিক্রি করেন তাহলে কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা লাভ থাকবে। আর, সেন্ট দিয়ে প্যাকেটিং করে বিক্রি করেন তাহলে আপনি কেজি প্রতি প্রায় ২০-২৫ টাকা লাভ পেয়ে যাবেন। একটি মেশিন থেকে দিনে প্রায় আপনি ৫০০-৭০০ টাকা রোজগার করতে পারবেন। এটা পুরোটাই আপনার প্রোডাকশন আর পরিশ্রমের উপর নির্ভর করছে। বেশি রোজগার করতে চাইলে মেশিনের সংখ্যা বাড়াবেন, তবে প্রাথমিকভাবে একটা থেকেই শুরু করে ধীরে ধীরে মেশিনের সংখ্যা বাড়াবেন।

মেশিনের কার্যক্ষমতা:

ভালো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিনের কার্যক্ষমতা র উপর তার দাম নির্ভর করে। আজকাল বাজারে অনেক ভালো ভালো মেশিন পাওয়া যাচ্ছে। দেখে নিতে হবে মেশিনের গতি যেন ১৫০ স্ট্রোক/মিনিট এর বেশি হয় এবং ঘন্টায় প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি ৬-১০ কেজির মতো হয়। প্রাথমিক ভাবে দিনে আপনি ৫০-৬০ কেজির মতো প্রোডাকশন করতে পারবেন তারপর ধীরে ধীরে আপনার কাজের গতি এবং প্রোডাকশন বাড়বে।

টিপস:

যে কোনো ব্যবসা শুরুর আগে যেমন মার্কেট সারভে করতে হয় তেমনি আগরবাতি ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই মার্কেটে সারভে করে মার্কেটে আগরবাতির চাহিদা বুঝে  নেবেন। কোন কোন দোকানে সেন্টেড আগরবাতি সেল করবেন,আনুমানিক মাসিক কত টাকার সেল করতে পারবেন, তার একটা প্ল্যানিং করে রাখবেন। আর শুকনো করা আগরবাতি কোন কোম্পানি বা দোকানে সেল করবেন, সেটাও যোগাযোগ করে রাখবেন। এতে ব্যবসা মসৃণভাবে চালাতে আপনার সুবিধে হবে।

দেখুন, প্রোডাকশন করে যদি বিক্রি করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে প্রোডাকশন কমিয়ে দেওয়া বা প্রোডাকশন করা মাল ঘরে জমিয়ে রাখা মানে আপনার একপ্রকার লস। তাই, মেশিনে যতটা মাল উৎপন্ন হবে তার একটা মার্কেট আপনাকে রেডি করতে হবে। তবে, হতাশ হবেন না, আগরবাতি একটি খুবই ললাভজনক ব্যবসা। আর, যেহেতু প্রতিটি বাড়ির দৈনন্দিন ব্যবহারের একটি জিনিস, তাই এর চাহিদা মার্কেটে কোনোদিন কমবে না।

প্রশ্নোত্তর:

মেশিন হঠাৎ খারাপ হয়ে গেলে কি করবো?

প্রথমত বেশিরভাগ ছোটো খাটো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ মেশিন ইনস্টল করতে আসা  টেকনিশিয়ানের কাছে শিখে নেবেন। যদি নিজে করতে না পারেন, যে টেকনিশিয়ান আসবে তার ফোন নম্বর নিয়ে রাখবেন, তাকে সমস্যা বললে সে আপনাকে বলে দেবে কি করতে হবে। তাও যদি না হয় যে ডিলারের কাছ থেকে কিনবেন তার সাথে যোগাযোগ করবেন এবং কোম্পানির থেকে তা সার্ভিসিং বা মেরামত করিয়ে নেবেন। 

আগরবাতি ব্যবসায় কিরকম লাভ হতে পারে?

একটি মেশিন থেকে দিনে প্রায় ৫০০-৭০০ টাকা উপার্জন হবে।বেশি মেশিন কিনে বেশি উপার্জন সম্ভব।

যদি আপনাদের এই লেখাটি ভালো লেগে থাকে, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ শেয়ার করে অন্য বন্ধুদের জানাবেন। আপনার এ সম্বন্ধে কোনো জিজ্ঞাসা থাকে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।  

RELATED ARTICLES

45 COMMENTS

  1. কিছু কিছু বাঁশের কাঠি পাতলা, গাঁটযুক্ত, ছোট হওয়ায় খুব অসুবিধার সৃস্টি হয়। হাতে কাঠি বাছাই করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কাজেই আমাকে অটোমেটিক মেশিন হওয়া সত্তেও হাত দিয়েই কাঠি মেশিনে ঢোকাতে হয়। কি করা যায়?

    • আপনাকে ভালো মানের কাঠি কিনতে হবে। বাজারে ভালো মানের কাঠি মানে চায়না ও ভিয়েতনাম দুই ধরনের কাঠি পাওয়া যায়। তবে আমি বলব চায়না কাঠিই ব্যবহার করবেন। একটু দাম বেশি পড়ে, কিন্তু এর কোয়ালিটি খুব ভালো। এই কাঠি একই সাইজের হয়, কোনো গাঁট পাবেন না। খুব নগণ্য পরিমাণ কাঠি নষ্ট হবে, যা আকারে হয়ত ছোট পাবেন। মেশিনের প্রোডাকশন খুব দ্রুত গতিতে করতে পারবেন যেহেতু আপনার অটোমেটিক মেশিন। এই কাঠি আপনি কলকাতার বড়োবাজার অঞ্চলে নীলরতন সরকার স্ট্রীটে পাবেন। যদি আপনার বিশ্বস্ত দোকানের ফোন নম্বর চায়, আমাকে admin@w2earnmoney.com এ পার্সোনাল মেসেজ করবেন।

    • আমি রেডিমেট ধুপ কাঠি কিনতে চাই 8207255671 এই নঃ কল করুন আমি বাবসা করি ধুপকাঠির

  2. বাংলাদেশে এ কারখানা করতে চাইলে আমি আপনার কাছ থেকে কি ধরণের সহযোগিতা পেতে পারি?

    • আপনি যা সহযোগিতা দরকার হবে জানাবেন,আমি সাধ্যমতো আপনাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবো।

  3. আমার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর আমি ধূপ ব্যাবসা করতে চাই । পূর্ব মেদিনীপুরের কোন ডিলারের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করলে ভালো হতো।
    যোগাযোগ (whatsapp number)-7797475634.

    • এই মূহুর্তে লক ডাউন না খোলা পর্যন্ত কারোর সাথে যোগাযোগ করা খুব মুশকিল। আমার কাছে এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের ডিলারের যোগাযোগ নম্বর নেই। কিন্তু আমি আপনার জন্য নম্বর খুঁজে দিতাম। দয়া করে আপনার পূর্ব মেদিনীপুরের এলাকা বা শহরের নাম জানাবেন।

  4. আমার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে আমি ধূপকাঠী পেটেন্ট করে বিক্রি করতে চাই। কাছাকাছি মাল কোথায় পাওয়া যাবে।‌ ফোন নং ৯৭৪৯৩৫০৭৪৩

  5. র মাল কোথায় পাওয়া যাবে দয়া করে জানাবেন । আমার মোবাইল নাম্বার ৯৭৪৯৩৫০৭৪৩

    • আপনি কলকাতার বড়োবাজার অঞ্চলে নীলরতন সরকার স্ট্রীটে পাবেন।

  6. নদীয়া জেলার কৃষ্নগর এর পাশে থাকি। এই ব্যবসার খুটি নাটি, ডিলার ঠিকানা জানতে আগ্রহী।

  7. আমি করতে চাই কিন্তু ঠিক প্লেনটা করতে পাছিনা আপনি যদি একটু সাহায্য করনে খুব ভালো হয়৷

  8. আমি রকাঠি কিনতে চাই পূর্ব মেদিনীপুরের কোথায় পাওয়া যায় একটু বলবেন

  9. আমার ঘর এর মাপ 13 ফুট বাই 14 ফুট এতে কী এই বাবসা করা যাবে।

  10. Where I get best quality raw agarbatti in kolkata, please provide their phone no. Also provide best quality raw fregnance supplier and required oil supplier phone no. It’s very urgent. My contact no-8651035748

  11. From where in Jharkhand I registered my business. Also from where I get the business license in jharkhand

    • at first you register your business in gram pradhan or municipal office which over is applicable. If you wanna trademark registration of your company then it may cost approx 7000 to 8000. But if you have small business then make it some big, and then register for trademark registration. At the meantime, you may register your company with msme.gov.in website.

  12. আমি মশার কাঠি, কালো কাঠি ‘র’ বিক্রি করতে চাই, যার দরকার যোগাযোগ করুন ।
    মোঃ 9062985995

  13. আমার বাড়ি হলো পূর্ব বর্ধমান আমি নুতন মেশিন কিনতে চাই

  14. আমার বাড়ি হলো পূর্ব বর্ধমান আমি নুতন মেশিন কিনতে চাই 8355857703

  15. দাদা আমার মেশিন আছে…..কিন্তু আমার মেশিনে কাঠিটা বেরোচ্ছে না…কাঠিটা আটকে যাচ্ছে আর মশলা টা বেরিয়ে যাচ্ছে …আমাকে একটু সাহায্য করুন কী করে ঠিক করা যায় ?

  16. দাদা আমার মেশিন আছে…..কিন্তু আমার মেশিনে কাঠিটা বেরোচ্ছে না…কাঠিটা আটকে যাচ্ছে আর মশলা টা বেরিয়ে যাচ্ছে …আমাকে একটু সাহায্য করুন কী করে ঠিক করা যায় ?

  17. নমস্কার দাদা,
    আমি পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদা থেকে,
    আপনার মোবাইল নাম্বার টা দিলে আমি খুবই উপকৃত হোতাম

  18. নমস্কার দাদা,
    আমি পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদা থেকে,
    আপনার মোবাইল নাম্বার টা দিলে আমি খুবই উপকৃত হোতাম
    আমার মোবাইল নাম্বার8389849677

  19. আমি ধূপের সেন্ট ও ডিইপি এর মিশ্রন অনুপাত জানতে চাই। দয়াকরে জানাবেন।

    • ওটা সেন্টের কোয়ালিটি অনুসারে নির্ধারিত হয়। তেল ও সেন্টের অনুপাত সাধারণত 5:1 করা হয়। এবার, যদি তেলের অনুপাত কমান, তাহলে মিশ্রণে সেন্ট উগ্র হয়; আর তেলের পরিমাণ বাড়ালে মিশ্রণে সেন্টের আধিপত্য কমে।

  20. Dada ami ekti organization theke bolchi.amar kichu proshno ache
    1. sompurno hate toiri korar podhiti ki ebong koto somoy lage.
    2. 100 kg material theke ktogulo dhup pabo.
    3.training kotha theke pabo,ami behala thaki.
    4. capital cost koto hbe, kotojon shromik drkr

  21. আমি বাংলাদেশ থেকে বলছি। আমি মেশিন নিতে গেলে কিভাবে পেতে পারি?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

‘খাতা’ তৈরি করে ব্যবসা

আজকের দিনে খাতার ব্যবহার স্কুল-কলেজ, অফিস- আদালত , দোকান - পত্র সর্বত্রই সারাবছর আছে।  তাই,  আমরা লাইন টানা,  সাদা,  বিঞ্জানের প্র্যাকটিক্যাল খাতা,  হিসাব পত্রের...
- Advertisment -

Most Popular