অটোমেটিক মেশিনের সাহায্যে জেমস ক্লিপ বানিয়ে অতি সহজেই ছোট ব্যবসা শুরু করে উদ্যোগপতি হওয়া যায়। এর জন্য বেশি মূলধন দরকার হয় না। ছোট ব্যবসা সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার জন্য দরকার মার্কেট স্ট্রাটেজি। জেমস ক্লিপ বা এই ধরনের ছোটখাটো জিনিস কেউ ব্রান্ডের নাম খুঁজে বাজার থেকে কেনে না। তাই আপনি বাজার দর থেকে একটু সস্তায় একই গুণমানের জিনিস বিক্রি করে আপনার লোকাল ও আশপাশের মার্কেটকে টার্গেট করতে পারেন।
জেমস ক্লিপের মার্কেট চাহিদা
আমাদের চারপাশের স্কুল, কলেজ, অফিস, দোকান, কোচিং সেন্টার ও বাড়ির প্রয়োজনেও জেমস ক্লিপের ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আপনি স্কুল, কলেজ ও অফিসে যোগাযোগ রেখে ডাইরেক্ট সেল করতে পারেন। এছাড়া যে সমস্ত স্টেশনারি ও বই খাতাপত্রের দোকান আছে, সেখানে আপনি এর বিক্রি করতে পারবেন। তারপর আস্তে আস্তে ডিস্ট্রিবিউটর এর মাধ্যমে এর সাপ্লাই বাইরের করুন। আশা করি কম খরচে এই ব্যবসা শুরু করে আপনি একটি ভালো রোজগার করতে পারবেন। এছাড়াও এর সাথে আপনি স্টেপলারের পিন, চক তৈরি,বল পেন, এনভেলপ তৈরি ও খাতা তৈরি করার ব্যবসাও শুরু করতে পারেন। কারণ এই সব ব্যবসা গুলির মার্কেটিং স্কুল,কলেজ ও অফিসকে কেন্দ্র করে।
জেমস ক্লিপ তৈরির পদ্ধতি
প্রথমে আপনি বাজার থেকে জেমস ক্লিপ যে তার বা কেবল থেকে তৈরি হয় তা কিনে আনবেন। এই তার কলকাতার বড়োবাজার এলাকায় পাওয়া যায় বা আপনার নিকটস্থ লোকাল মার্কেটে এর খোঁজ করতে পারেন বা অনলাইন সার্চ করে অনলাইন থেকেও কিনতে পারেন। আপনি যদি রংবেরঙের তার চান তাও কিনে নিতে পারেন, এর থেকে রংবেরঙের জেমস ক্লিপ তৈরি করতে পারবেন। এই তারটি অটোমেটিক মেশিনের স্ট্যান্ডে ঝুলিয়ে দিবেন, আর একটি প্রান্ত মেশিনের ববিনে গুঁজে দেবেন। এরপর মেশিনটি চালু করুন। অটোমেটিক পদ্ধতির সাহায্যে মেশিন থেকে জেমস ক্লিপ তৈরি হয়ে যাবে।
মেশিনের দাম ও কার্যক্ষমতা
এই মেশিনটি কিনতে আপনার প্রায় ১,১০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
এই মেশিনটি চালাতে ১ হর্সপাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর ও ২২০ ভোল্ট পাওয়ার সাপ্লাইয়ের প্রয়োজন হয়।
এই মেশিনটি প্রতি মিনিটে প্রায় ১০০ পিস জেমস ক্লিপ তৈরি করতে পারবে।
অবশ্যই পড়ুন : নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে –
আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন, লাইসেন্স ও মেশিন কেনার ঠিকানা
এই মেশিনটি কিনতে ও রিভিউ পড়তে নিচের ওয়েবসাইট গুলিতে ভিসিট করতে পারেন।