ফ্রিতে ওয়েবসাইট বা ব্লগ!! আজকালকার দিনে অনেকেই অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের উপায় সন্ধান করছেন। আর এর মধ্যে বেশিরভাগ লোকই ব্লগিংকে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে বেশি সহজ মনে করছেন। ব্লগিংয়ের দ্বারা সত্তিকারের অর্থ উপার্জন সম্ভব এটি প্রমাণিত। অনেক ব্লগারই পার্টটাইম কাজ হিসাবে শুরু করেও, আজ অনেক সচ্ছল আয় করে এটিকে ফুল টাইম কাজ হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছে।
আপনি যদি নিখরচায় একটি ব্লগ সাইট বানাতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আপনি শুধু নিখরচায় ব্লগই বানাতে পারবেন তা নয়, এই ব্লগ ও অ্যাডসেন্সের এর মাধ্যমে আপনি খুব ভালো রোজগারও করতে পারবেন।
আপনি যেহেতু নিখরচায় ব্লগসাইট শুরু করতে চান তাই আপনি গুগলের ব্লগার প্লাটফর্ম টি ব্যবহার করুন। এই ব্লগার প্ল্যাটফর্মের ফ্রি ডোমেইন প্রোভাইডার হল গুগলের blogspot.com এবং হোস্টিং প্রোভাইডার গুগল। ব্লগার প্লাটফর্মের মাধ্যমে ব্লগ সেটাপ করা খুবই সহজ। আসুন আমরা স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নিই কিভাবে একটি ব্লগার সাইট সেটআপ করা হয়।
ব্লগারের অ্যাডভান্টেজ ও ডিসঅ্যাডভান্টেজ
অ্যাডভান্টেজ
- অন্যান্য যেকোনো ব্লগিং প্লাটফর্মের তুলনায় ব্লগার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা অনেক সহজ।
- এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
- যেহেতু এটি গুগলের প্রোডাক্ট তাই আপনাকে এর সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে হবে না।
- ব্লগার সাইটের লেখা পোস্টগুলি খুব তাড়াতাড়ি গুগোল সার্চ কনসোলে ইনডেক্স হয়।
- ব্লগ কাস্টমাইজেশন এর জন্য অনেক অপশন পেয়ে যাবেন।
ডিস অ্যাডভান্টেজ
- ব্লগার প্লাটফর্মে ভালো থিম ও প্লাগিন এর সংখ্যা অনেক কম।
- যদি আপনি ব্লগসাইটটি আপডেট না রাখেন তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি আপনার ট্রাফিক হারিয়ে ফেলবেন।
কিভাবে ব্লগস্পটে ব্লগ তৈরি করবেন
প্রথম ধাপ
গুগলের ব্লগার প্ল্যাটফর্ম বা ব্লগস্পটে ব্লগ তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনার দরকার একটি গুগল অ্যাকাউন্ট। এর জন্য প্রথমে একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা যদি আপনার জিমেইল একাউন্ট থাকে তবে তার লগইন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনি ব্লগারে লগইন করতে পারবেন। নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনি আমাদের পোস্টটি পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন: ওয়েবসাইটে কিভাবে রাইট ক্লিক ডিজেবল (Right Click Disable) করা হয়
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর আপনি www.blogger.com এ যান বা আপনার মোবাইল ও ল্যাপটপ এর ব্রাউজার থেকে blogger সার্চ করুন। প্রথমেই সার্চ রেজাল্টে যে সাইটটি আসবে www.blogger.com ওখানে ক্লিক করুন।
এরপর নিচে দেওয়া ইমেজে প্রত্যেকটি ধাপ একের পর এক ফলো করুন।
![blogger 1st step](https://w2earnmoney.com/wp-content/uploads/2020/05/Screenshot-12-1024x356.png)
www.blogger.com এ এন্টার করলে এই পেজটি আসবে। এখানে নিচে CREATE YOUR BLOG এ ক্লিক করতে হবে।
![blogger 2nd step](https://w2earnmoney.com/wp-content/uploads/2020/05/Screenshot-13.png)
CREATE YOUR BLOG এ ক্লিক করলে গুগলের এই সাইন ইন পেজটি আসবে। এখানে নিজের জিমেইল এর মেইল অ্যাড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করুন।
![blogger 4th step](https://w2earnmoney.com/wp-content/uploads/2020/05/Screenshot-14-1.png)
জিমেইল আইডি দিয়ে সাইন ইন করার পর উপরের এই পেজটি আসবে । এখানে ডিসপ্লে নাম এ নিজের নাম বা ব্লগের নাম, যে কোনো একটি নাম লিখুন। ডিসপ্লে নাম দেওয়ার পর Continue to blogger এ ক্লিক করুন।
![blogger 5th step](https://w2earnmoney.com/wp-content/uploads/2020/05/Screenshot-16-1024x548.png)
এরপর উপরের এই ওয়েলকাম পেজটি আসবে। এখানে নিচে CREATE NEW BLOG এর অপশনটি দেখতে পাচ্ছেন, ওখানে ক্লিক করুন।
![blogger 6th step](https://w2earnmoney.com/wp-content/uploads/2020/05/Screenshot-17.png)
CREATE NEW BLOG এ ক্লিক করার পর উপরের এই পেজটি দেখতে পাবেন। Title অপশনে নিজের ব্লগের টাইটেল লিখতে হবে। Address অপশনে নিজের ব্লগের জন্য একটি ডোমেইন নাম পছন্দ করতে হবে। নিজের পছন্দমতো একটি নাম ব্যবহার করুন। যদি সেটা অ্যাভেলেবল না থাকে, তবে আগে পেছনে আরো কিছু নাম বা শব্দ জুড়ে দিন। অ্যাভেলেবল থাকলে ডোমেইন নামের শেষে √ চিহ্নটি আসবে। ডোমেইন নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে। আর যেহেতু এটা বিনামূল্যে এবং গুগলের blogspot.com থেকে পাওয়া যাচ্ছে, তাই ডোমেইন অ্যাড্রেস এ আপনার পছন্দ করা নামের শেষে blogspot.com এটি যুক্ত থাকবে।
![blogger 7th step](https://w2earnmoney.com/wp-content/uploads/2020/05/Screenshot-19.png)
Title ও address এ যথাক্রমে ব্লগের টাইটেল ও ডোমেইন অ্যাড্রেস লিখে দেওয়ার পর নিচে Create blog! এ ক্লিক করতে হবে।
![blogger 9th step](https://w2earnmoney.com/wp-content/uploads/2020/05/Screenshot-21-1.png)
Create blog! এ ক্লিক করলে উপরের এই পেজটি দেখতে পাবেন, এখান থেকে Theme অপশনে গিয়ে নিজের পছন্দমতো একটি থিম অ্যাক্টিভেট করুন।
এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ হল Posts অপশনে গিয়ে নতুন নতুন পোস্ট লেখা। layout অপশনে গিয়ে থিমটিকে কাস্টমাইজ করা। ও সেটিংস এ কিছু বেসিক সেটিংস করা, এজন্য আমার পরবর্তী পোস্টগুলোতে চোখ রাখুন।