ব্লগ শুরু করার আগে ব্লগের নিশ বা টপিক নির্বাচন করা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বলতে গেলে, এই নিশ নির্বাচনের উপরেই আপনার সাফল্য অনেক বেশি লুকিয়ে আছে। তাই খুব পারদর্শিতার সাথে এই নিশ নির্বাচন করতে হবে। ব্লগের নিশ নির্বাচনের সময় যে জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে, তা নিয়ে নিচে ডিটেলস আলোচনা করবো।
নিশ বা টপিক নির্বাচন
(১)ব্লগের নিশ নির্বাচনের সময় সর্ব প্রথম যে জিনিস টি লক্ষ্য করতে হবে, কোন বিষয়ে আপনার আগ্রহ সব থেকে বেশি। এই বিষয়টি অনলাইন দুনিয়ায় যে কোনো ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য প্রযোজ্য। সে ইউটিউব চ্যানেল হোক বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সব ক্ষেত্রেই যে নিশ আপনি নির্বাচন করবেন, সেই বিষয় টি সম্পর্কে আপনার গভীর আগ্রহ ও জ্ঞান থাকা দরকার। এক কথায় টপিকের উপর আপনাকে কাজের পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে। ওই নিশের যে কোনো টপিকের উপর আপনাকে ডিটেলস তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং তা আপনার ব্লগের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
(২) যে নিশ বা টপিক টি আপনি নির্বাচন করলেন সেটি ইন্টারনেটে সার্চ ভলিউম কতো। মানে, সেই বিষয়টি নিয়ে প্রতি মাসে ইন্টারনেটে কতো সার্চ আসে। এখন, দেখতে হবে আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ সেই বিষয়টি ইন্টারনেটে সার্চ আসতে হবে। এজন্য গুগল ট্রেন্ড বলে একটা টুল আছে, ওখানে গিয়ে আপনার টপিক টি লিখে সার্চ করলে বলে দেবে, আপনার টপিকটি কিরকম ট্রেন্ডিং এ চলে। মোটামুটিভাবে এই ট্রেন্ডিং ৫০% এর উপর হলে ভালো।
এখন ধরুন, আপনার একটি বিষয় খুব আগ্রহের কিন্তু সেটি ইন্টারনেটে সার্চ হয় না, তাহলে সেই বিষয়ে লিখে কোনো লাভ নেই। কারণ, আপনি ওই বিষয়ে ব্লগ পোস্ট লিখলেও কেউ পড়তে আসবে না।ভালো ভিসিটর না আসলে আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাডভার্টাইজে ভালো ক্লিক আসবে না। মানে, আপনার ভালো ইনকাম হবে না। সর্বশেষে আমরা ভালো ইনকামের জন্যই তো এত পরিশ্রম করছি। তাই, ব্লগের নিশ আপনার আগ্রহের বিষয় ও ইন্টারনেটে সার্চ ভলিউম দুটোর কম্বিনেশন মিলিয়ে হয়।
এবার ধরুন, একটি নিশের উপর ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ ভলিউম আছে, আপনি ভাবলেন এই বিষয়ের উপর কাজ করলে আপনি অনেক ভালো ফল করতে পারবেন। এখন এই বিষয়টি যদি আপনার আগ্রহের বিষয় না হয়, আপনি ২ সপ্তাহ থেকে ৩ সপ্তাহ কাজ করবেন তার পর আর কাজের ইচ্ছা পাবেন না।
ব্লগের নিশ
(১)আপনি এখনও ভাবতে পারেন, তাহলে কি বিষয় নিয়ে শুরু করা যায়। তাহলে বলি, কোন বিষয় নিয়ে আপনার জ্ঞান অন্যদের তুলনায় বেশি বা কোনো ডাউট হলে কোন বিষয়টি আপনার বন্ধুরা আপনাকে জিজ্ঞেস করে পরামর্শ নেয়।
(২) ইন্টারনেটে কোন বিষয়ের উপর ভিডিও দেখতে বা আর্টিকেল পড়তে আপনার ভালো লাগে! যেমন – আপনার যদি বেড়াতে ভালো লাগে, তাহলে ট্রাভেল ব্লগ বানাতে পারেন। যদি, মোবাইল নিয়ে বেশি আগ্রহ থাকে তাহলে মোবাইল রিভিউ সাইট বানাতে পারেন।
ইন্টারনেটে স্বাস্থ্য, বিজনেস আইডিয়া, মোবাইল ও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, জব ভ্যাকেন্সি ইত্যাদি বেশ কিছু নিশ বা টপিক আছে, যেগুলোতে বেশ ভালো সার্চ হয়। এছাড়াও নিচে আমি বেশ কিছু টপিক বা নিশ দিলাম, দেখুন এগুলোর মধ্যে আপনার আগ্রহের বিষয় আছে কি না!!
- স্বাস্হ্য ও ফিটনেস ব্লগ
- বিউটি ব্লগ
- বিজনেস আইডিয়া
- স্টার্ট আপ এবং বিজনেস নিউজ
- অনলাইন মানি ব্লগ
- এডুকেশন এবং ক্যারিয়ার
- প্রোডাক্টের তুলনা
- গানের লিরিকস
- গ্যাজেটস রিভিউ
- অটোমোবাইল রিভিউ
- মোবাইল হেল্প ব্লগ
- এন্টারটেইনমেন্ট রিভিউ
- জব ভ্যাকেন্সি
- লাইক কোচ
- মোটিভেশনাল ব্লগ
- ট্রেন্ডিং নিউজ
- ট্রাভেল ব্লগ
- টেকনোলজি ব্যাখ্যা
- কুকিং এবং রেসিপি
- ফ্যাশন
- ফাইনান্স ও ইনভেস্টমেন্ট
- সেলিব্রেটি ইনফরমেশন
- বায়োগ্রাফি
- এগ্রিকালচার
- ফেস্টিভ্যাল উইশ
- অ্যানড্রয়েড অ্যাপস
- অ্যাস্ট্রোলজি
- স্পোর্টস
- অনলাইন কোর্স
- সোশ্যাল মিডিয়া
- পলিটিক্যাল নিউজ
- কিচেন টিপস
- স্টাডি ম্যাটেরিয়াল
- প্রেগন্যান্সি ব্লগ
- ডেকোরেশন/ ইন্টিরিয়র ডিজাইন ব্লগ
- গেমিং ব্লগ
- যোগা ও মেডিটেশন
- গার্ডেনিং ব্লগ
- ফটোগ্রাফি
- টিভি শো ব্লগ
- শায়রি/জোকস
- গিটার লেসনস
- সরকারি স্কিম ইনফরমেশন
- গিফ্ট আইডিয়া
- হোম প্রোডাক্ট রিভিউ
- ইভেন্ট ব্লগিং
- কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
- ম্যাজিক ট্রিকস
- রিয়েল এস্টেট
- ওয়েব সিরিজ/ মুভি রিভিউ
- সফ্টওয়্যার রিভিউ